
কর্মাশালা শেষে অংশগ্রহণকারী এবং কর্মশালা পরিচালনাকারীগণ। ছবি: উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ
ঢাকায় অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে নারীদের নিয়ে উইকিপিডিয়ার একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে, গত ৫ মার্চ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এবং সুইডিশ দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা। “উইকিপিডিয়া ওয়ার্কশপ ফর ড্রিভেন কমিউনিকেটরস” শীর্ষক এই কর্মশালায় বাংলাদেশের নারী অধিকার ও লিঙ্গ-সমতা নিয়ে কাজ করা ২০টি সংস্থার নারী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার। তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “সুইডেন বিশ্বের প্রথম দেশ যারা নারীবান্ধব পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে আমরা কাজ করছি কারণ লিঙ্গ-সমতা, শান্তি, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের একটি মৌলিক শর্ত।”

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণের একাংশ। ছবি: উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ”বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী সফল হচ্ছেন, ভার্চুয়্যাল জগতেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথাপি বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে ৯০ভাগ বিষয়বস্তু পুরুষ কর্তৃক লিখিত এবং নারীদের তুলনায় পুরুষ সম্পর্কিত নিবন্ধ ৪গুণ বেশি। উইকিপিডিয়ায় এ অসামঞ্জস্যতা দূর করতেই সুইডিশ দূতাবাস এই আয়োজন করেছে।”
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসক নাহিদ সুলতান, নুরুন্নবী চৌধুরী (হাছিব), মো. ইব্রাহীম হোসেন এবং উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সভাপতি এবং সক্রিয় উইকিপিডিয়ান শাবাব মুস্তাফা।
শাবাব মুস্তাফা বলেন, “ইংরেজি উইকিপিডিয়ার তুলনায় বাংলা উইকিপিডিয়ায় লিঙ্গবৈষম্য আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যমান। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।”

কর্মাশালায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি শাবাব মুস্তাফা। ছবি: উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ
এছাড়াও উইকিপিডিয়াতে নিবন্ধ তৈরি, সম্পাদনা, ছবি যোগ করা এবং এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন নাহিদ সুলতান, নুরুন্নবী চৌধুরী (হাছিব) এবং মো. ইব্রাহীম হোসেন।
কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিল: ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সেইভ দ্য চিল্ড্রেন, কেয়ার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ, সলিডারিডেড এশিয়া নেটওয়ার্ক, অ্যাকশন অ্যাগেইন্স্ট হাঙ্গার, হোপ’৮৭ বাংলাদেশ, সেফটি অ্যান্ড রাইট্স, দিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইয়ুথলিডারশিপ সেন্টার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং নারীপক্ষ।