
ইউনেস্কোর লোগো (ছবি: ইউনেস্কোর সৌজন্যে)
ইউনেস্কো পরিচালিত গ্লোবাল এডুকেশন কোয়ালিশন গঠনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী বন্ধ থাকা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিকল্প হিসেবে অনলাইনে উন্মুক্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্ত হলো উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই কোয়ালিশনে যুক্ত হচ্ছে। ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল অড্রি অ্যাজুলে এই সম্পর্কে বলেন, “এত ব্যাপক মাত্রায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার নজির আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একমাত্র এগিয়ে যাওয়ার পথ। এই কোয়ালিশন সবাইকে আহবান করছে সহযোগিতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে উক্ত সমস্যার সমাধান করতে, যেন তা শুধুমাত্র শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সাময়িকভাবে সহায়তা করবে তা-ই নয়, বরং এই পুণরুদ্ধার-প্রক্রিয়া যেন একটি দীর্ঘমেয়াদী ন্যায় ও সুসংহত মূলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।”
পৃথিবীর প্রায় দেড় বিলিয়ন শিক্ষার্থী কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের জন্য তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে এবং এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছেই। এই সমস্যা সমাধানে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ছাড়াও এগিয়ে এসেছে গুগল, মাইক্রোসফ্ট, ফেসবুক, হুয়াওয়ের মতো বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি। এছাড়া বিভিন্ন জনহৈতিষীমূলক প্রতিষ্ঠান যেমন খান একাডেমী, সেভ দ্যা চিলড্রেন, দুবাই কেয়ার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, ইউনিসেফ, ইউএনএইচআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলো ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়েছে এই কোয়ালিশনে। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিবিসি নিউজ। এই কোয়ালিশনের লক্ষ্য হলো একটি সুষম শিক্ষা পরিকল্পনার অধীনে ঘরে বসেই যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারেন এমন শিক্ষা উপকরণ তৈরী ও বিতরণ করা। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় লেখা মুক্ত বিশ্বকোষ “উইকিপিডিয়া” দূরবর্তী শিক্ষার অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। ইতোঃমধ্যেই কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধ তৈরী করে সংক্রমণ এড়াতে সঠিক তথ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া উইকিমিডিয়া এডুকেশন টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরীর কাজও চলছে।