
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার। ছবি: সাফি, সিসি-বাই-এসএ ৪.০
সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী চলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা উইকি লাভস মনুমেন্টস ২০১৯ শেষ হয়েছে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে নেদারল্যান্ডে প্রতিযোগিতাটি শুরু হলেও দ্রুত অন্যান্য দেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে গিনেস বুকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ বছর প্রতিযোগিতায় ৪৮টি অংশগ্রহণকারী দেশের বিভিন্ন স্থাপনার ২ লক্ষের অধিক ছবি জমা পড়ে। গত বছর ৫৬টি দেশের ১৪ হাজার আলোকচিত্রী ২ লক্ষ ৫৮ হাজার আলোকচিত্র জমা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ২১৫ জন অংশগ্রহণকারী দেশের স্থাপনার প্রায় ৪ হাজার ছবি এ প্রতিযোগিতায় জমা দেন। ভারত থেকে ৯৭৫ জন অংশ নিয়ে জমা দেন ৬ হাজারের অধিক ছবি।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে প্রাপ্ত ১০টি করে আলোকচিত্র থেকে ১৫টি আলোকচিত্রকে আন্তর্জাতিক বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে বিজয়ীদের বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়েও সতন্ত্রভাবে পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ অংশের ফলাফল ঘোষণা করা হবে নভেম্বরের প্রথম দিকে। পরবর্তীতে দেশে জয়ী ১০ আলোকচিত্র পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বিচারকদের কাছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের সেরা ১০টি করে ছবি থেকে নির্বাচন করে ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বের ৫৪টি দেশের ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করে দেশের ২টি ছবি আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১০-এ স্থান করে নেয়। ১০টি ছবির মধ্যে বাংলাদেশের আজিম খান রনির তোলা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের একটি ছবি তৃতীয় এবং জুবায়ের বিন ইকবালের তোলা বায়তুল মোকাররমের আরেকটি ছবি ৭ম লাভ করে।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বের ৫৬টি দেশের ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১০টি ছবির মধ্যে ৪টি ছবি আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১৫-তে স্থান করে নেয়।
এরমধ্যে, আব্দুল মোমিনের তোলা রাজশাহীর প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য পুঠিয়া রাজবাড়ির পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের আলোকচিত্র চতুর্থ, শাহরিয়ার আমিন ফাহিমের তোলা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের একটি আলোকচিত্র পঞ্চম, ১১তম স্থানে নাজমুল হাসানের তোলা বায়তুল মোকাররমের আরও একটি আলোকচিত্র ও ১৫তম স্থানে ছিল শাহরিয়ার আমিনের তোলা দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কুয়াশাচ্ছন্ন একটি আলোকচিত্র।
যদিও আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১৫টি ছবি প্রকাশ করা হয় কিন্তু সে বছর বাংলাদেশের পাঠানো আরও দুটি ছবি ১৭ ও ২১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১০টি ছবির মধ্যে ৬টিই সেরা ২৫-এ স্থান পেয়েছিল।